করোনা সংক্রমণ পরীক্ষায় এবার থার্মাল স্ক্রিনিং শুরু করলো উত্তরপাড়া পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ

15th April 2020 হুগলী
করোনা সংক্রমণ পরীক্ষায় এবার থার্মাল স্ক্রিনিং শুরু করলো উত্তরপাড়া পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ


নিজস্ব সংবাদদাতা ( উত্তরপাড়া ) : করোনা মোকাবিলায় থার্মল স্ক্রিনিং এর মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি ঘুরে করোনা উপসর্গ পরীক্ষা শুরু করল উত্তরপাড়া পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মী  ও চিকিৎসকরা। বুধবার সকালে পুরসভার উদ্যোগে  নাগরিকদের বাড়িতে গিয়ে র‍্যান্ডম পরীক্ষা করেন,কারো জ্বর আছে কিনা তা দেখার পাশাপাশি গত কয়েকদিনে কারো কাশি গলাব্যাথা বা অন্য কোনো উপসর্গ দেখা দিয়েছে কিনা তা জিজ্ঞাসা করেন।কোনো উপসর্গ দেখা দিলে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করার কথাও বলা হয়।উত্তরপাড়া সখের বাজার এলাকা থেকে শুরু হয় স্ক্রিনিং।পুরসভার মেডিকেল অফিসার জানান,হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিকে যে পরীক্ষা হয় সেটাই বাড়িতে ঘুরে করা হচ্ছে।স্বাস্থ্যকর্মিরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে রিপোর্ট সংগ্রহ করবেন।তা স্বাস্থ্য দপ্তরে পাঠানো হবে।উত্তরপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব বাসিন্দাদের আতঙ্কিত না হয়ে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন।অকারনে বাইরে না বেরোতে বলেন।খুব প্রয়োজনে বেরোলেও মাস্ক পরে সামাজিক দূরত্ব বজার রাখতে অনুরোধ করেন।চেয়ারম্যান জানান,পুরসভা পাঁচটা থার্মল গান কিনেছে।যা দিয়ে পুরসভার সমস্ত জায়গায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের স্ক্রিনিং করার কাজ চলবে।এরজন্য চারটি জোন ভাগ করা হয়েছে।এই কাজের জন্য স্বাস্থ্যকর্মিদের চারটি দল গঠন করা হয়েছে।এর ফলে শহরবাসীর মনে যে আতঙ্ক তা দূর হবে।অনেক সময় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও প্রাথমিক ভাবে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না।সেসময় যারা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসবেন তারা সংক্রামিত হতে পারেন।থার্মল স্ক্রিনিং এবং চিকিংসকদের পরামর্শের ফলে সেই অনিশ্চয়তা কাটবে।ভয়ও দূর হবে।পুরসভার এই উদ্যোগে খুশি শহরবাসী।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।